চাঁদে 4G নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা করেছে National Aeronautics and Space Administration (NASA) আর নাসার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠান নোকিয়া (NOKIA)! আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে চাঁদে মোবাইল নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মানের জন্য সম্প্রতি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে নাসা এবং নোকিয়ার মধ্যে। আর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে পরবতির্তে চাঁদ মিশনে নভোচারীরা তাদের কাছে যাওয়া টেক্সট বা মোবাইল মেসেজের উত্তর না দেওয়ার জন্য কোনও অজুহাত পাবেন না। এমনটাই জানিয়েছে নাসা।
চাঁদে 4G নেটওয়ার্ক নেটওয়ার্ক চুক্তি
চাঁদে ফোর জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য নাসা আমেরিকার নোকিয়াকে চুক্তি অনুযায়ী ১৪.১ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। চুক্তিটি নাসার “টিপিং পয়েন্ট” সিলেকশনের অধীনে স্বাক্ষরিত $৩৭০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তির অংশ, যার লক্ষ ও উদ্দেশ্য মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য গবেষণা এবং বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
নোকিয়ার পরিকল্পনা হ’ল একটি 4G/LTE নেটওয়ার্ক তৈরি করা যা পরবর্তিতে 5G তে রূপান্তর (পৃথিবীতে যেভাবে করা হয়ে থাকে) করা যাবে। নাসা তাদের ঘোষণায় বলেছে, ”এটিই হবে মহাকাশে প্রথম LTE / 4G যোগাযোগ ব্যবস্থা”,
নাসা তাদের ঘোষনায় আরো বলেছে, “গতি বৃদ্ধি এবং বর্তমান মানের তুলনায় আরও নির্ভরযোগ্যতা প্রদানের মাধ্যমে সিস্টেমটি আরও বেশি দূরত্বে চন্দ্র পৃষ্ঠের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নভোচারীদের সহায়তা করতে পারবে”
নোকিয়ার গবেষণা দল, বেল ল্যাব একটি টুইটার থ্রেডে আরও বলেছে যে, তাদের তৈরি নেটওয়ার্ক চান্দ্রপৃষ্ঠে রোভার এবং নেভিগেশনে ওয়্যারলেস অপারেশনর পাশাপাশি ভিডিও স্ট্রিমিং ও সাপোর্ট করবে।
নেটওয়ার্কটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে কমপ্যাক্ট এবং দক্ষতার সাথে চরম তাপমাত্রা, বিকিরণ এবং শূন্যস্থান পরিস্থিতি সহ্য করতে পারে”
UNITED PRESS INTERNATIONAL (UPI) এর তথ্য অনুসারে, নাসা এই ঘোষণার সরাসরি সম্প্রচারে বলেছে যে, চাঁদে ফোর জি নেটওয়ার্ক মহাকাশযান পর্যন্ত প্রসারিত হবে ফলে চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রযুক্তি বিকাশে সহায়তা করবে।
বাস্তবায়ন সময়সীমা
নাসা তাদের ঘোষনায় এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন সময়সীমা সম্পর্কে বিশদ উল্লেখ করেনি। তবে ধরে নেওয়া হচেছ ২০২৮ সালের মধ্যে চাঁদে 4G নেটওয়ার্ক অবকাঠামো স্থাপন করা সম্ভব হবে। নাসার প্রশাসক জিম ব্রিডেনস্টাইন এক সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচারে বলেন, ”সর্বোপরি, নভোচারীরা তাদের চাঁদে হাঁটার দৃশ্যও এর পরে থেকে ইনস্টাগ্রাম করতে সক্ষম হবেন!”
Source: www.upi.com







