ADVERTISEMENT
মুক্তপ্রান
  • মূল পাতা
  • লাইফস্টাইল
  • ভ্রমণ
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • স্বাস্থ্য কথা
  • ইতিহাস
  • রহস্য
  • রিভিউ
  • বৈশ্বিক
  • পরামর্শ
No Result
View All Result
মুক্তপ্রান
  • মূল পাতা
  • লাইফস্টাইল
  • ভ্রমণ
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • স্বাস্থ্য কথা
  • ইতিহাস
  • রহস্য
  • রিভিউ
  • বৈশ্বিক
  • পরামর্শ
No Result
View All Result
মুক্তপ্রান
No Result
View All Result

হায়া সোফিয়া, আর্কিটেকচারের ইতিহাস পরিবর্তনকারী একটি স্থাপনা।

Bulbul Ahmed by Bulbul Ahmed
July 11, 2020
in ইতিহাস
A A
0
হায়া সোফিয়া

হায়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল

3
SHARES
21
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

মধ্যযুগের রোম সাম্রাজ্যের সাবেক রাজধানী কনস্টান্টিনোপল যেটি বর্তমানে তুরষ্কের একটি অন্যতম শহর ইস্তাম্বুল। এই ইস্তাম্বুলের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহাসিক স্থাপনা হায়া সোফিয়া (Hagia Sophia) কখনও অর্থডক্স গির্জা (Orthodox Church) কখনও ক্যাথলিক গির্জা (Catholic Church) আবার কখনও মসজিদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে।

সর্বশেষ ৮৬ বছর জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার পর আবারও তা রুপান্তরিত হলো মসজিদে। হায়া সোফিয়াকে বাইজেন্টাইন আর্কিটেকচারের রূপক হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং বলা হয় এটা বিশ্বের আর্কিটেকচারের ইতিহাস পরিবর্তনকারী একটি স্থাপনা।

ইতিহাসের পাতা থেকে হায়া সোফিয়া

বাইজেন্টাইন সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ান ষষ্ঠ শতকে অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে হায়া সোফিয়া নির্মান করেন। নির্মাণের পর থেকে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এটি অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং পরবর্তিতে এটিকে ক্যাথলিক গির্জায় রুপান্তর করা হয় যা ১২৬১ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়। তারপর এটি পুনরায় অর্থোডক্স গির্জায় রূপান্তর করা হয়, যার মেয়াদকাল ছিলো ১২৬১ থেকে ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত।

Heiga Shofiea
হায়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল

এর পরে পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি তুরস্ক উসমানীয় বা অটোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে এই স্থাপনাটিকে মসজিদে রুপান্তর করা হয় এবং নামকরন করা হয় “ইম্পিরিয়াল মসজিদ” হিসাবে যা প্রায় ৫০০ বছর স্থায়ী ছিলো। বর্তমানে তুরস্কের প্রধান মসজিদ সুলতান আহমেদ মসজিদ, যা “Blue Mosque” নামে পরিচিত এটা তৈরি করা হয় ১৬১৬ সালে, তার আগে পর্যন্ত হাইয়া সোফিয়া বা “ইম্পিরিয়াল মসজিদ”-ই ছিল তুরস্কের প্রধান মসজিদ।

এরপর ১৯৩৫ সালে আধুনিক তুরস্কের স্থপতি ও স্বাধীন তুরস্কের প্রথম রাষ্ট্রপতি “মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক” এই স্থাপনাটিকে যাদুঘরে রূপান্তর করেন। এই স্থাপনাটিকে মসজিদে রূপান্তরের সময় এর দেয়ালে মার্বেলে অঙ্কিত যীশু খ্রিস্টের অনেক গুলো ছবি সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ৫০০ বছর পরে যখন এটাকে যাদুঘরে রূপান্তরের সময় ঔই ছবিগুলো আবার পুনরুদ্ধার করা হয়।

ফলে যীশুখ্রিস্টের ছবিগুলো অনেকটা অস্পষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে “আল্লাহু ও মুহাম্মদ” এর আরবিতে অঙ্কিত মার্বেল পাথরও এর পাশাপাশি সংরক্ষিত হয়। যাদুঘর হিসাবে রুপান্তেরের পরে হায়া সেফিয়ার জন্য নতুন নিয়ম প্রবর্তন হয়। যেমন, “এই স্থাপনার মূল অংশ বা হলরুম কোন ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ বিবেচিত হবে এবং তা মুসলিম অথবা খ্রিস্টান ধর্ম উভয়ের জন্য প্রযোজ্য হবে।

এই স্থাপনাতে উভয় ধর্মের মানুষের জন্য আলাদা সংরক্ষিত জায়গা রয়েছে। অর্থাৎ প্রার্থনা করর জন্য এই কমপ্লেক্ষটির মধ্যে একটি মসজিদ ও একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়। যা শুধুমাত্র যাদুঘরের কর্মচারী কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত ছিলো।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে হায়া সোফিয়া

সম্প্রতি তুরষ্কের প্রশাসনিক আদালতের রায়ে হায়া সোফিয়াকে আবারও জাদুঘর থেকে মসজিদে রুপান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তারই পদক্ষেপ হিসাবে গত শুক্রবার ৮৬ বছর পরে আবারও আজান শোনা গেলো হায়া সোফিয়াতে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে,

“সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেছে যে, এই স্থাপনা মসজিদ হিসেবেই বরাদ্দ ছিল। এর বাইরে অন্য কিছু হিসেবে এটিকে ব্যবহার করা আইনগতভাবে সম্ভব নয়।” “১৯৩৪ সালে মসজিদ হিসেবে এর ব্যবহার বন্ধ করে জাদুঘর হিসেবে ব্যবহারের যে সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভা নিয়েছিল তা আইনসঙ্গত নয়।”

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান গত বছরের এক নির্বাচনী প্রচারে ইউনেস্কো ঘোষিত ”বিশ্ব ঐতিহ্য” হায়া সোফিয়াকে জাদুঘর থেকে মসজিদে পরিণত করার কথা বলেছিলেন। তাছাড়া তুরস্কের ইসলামপন্থিরা অনেকদিন থেকেই হায়া সোফিয়াকে আবারও মসজিদে রূপান্তরের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এদিকে, ইউনেস্কো বারাবর তাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া হায়া সোফিয়ার মর্যাদা পরিবর্তন না করার আহ্বান জানিয়েছিল তুরস্কের কাছে। তবে তুরস্কের ভাষ্য ছিলো অনেকটা এরকম যে, “আমাদের সম্পত্তি নিয়ে কী করব, তা আমাদের ব্যাপার”।

আরো পড়ুনঃ
ক্রিস্টোফার কলম্বাস; ঔপনিবেশিকের আড়ালে একজন বর্ণবাদী লুটেরা।
দ্য গ্রেট স্প্যারো ক্যাম্পেইন’ ও প্রকৃতির নির্মম প্রতিশোধ!
ঘোলদাড়ি মসজিদ; বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলের প্রথম মুসলিম নিদর্শণ!

সূত্রঃ https://en.wikipedia.org/

Tags: Hagia Sophiaআয়া সেফিয়াআর্কিটেকচারের ইতিহাসইম্পিরিয়াল মসজিদহাজিয়া সোফিয়াহায়া সেফিয়াহায়া সোফিয়া (Hagia Sophia)
ShareTweetPin3
Previous Post

দ্য গ্রেট স্প্যারো ক্যাম্পেইন’ ও প্রকৃতির নির্মম প্রতিশোধ!

Next Post

ক্রিস্টোফার কলম্বাস; আবিষ্কারকের আড়ালে একজন বর্ণবাদী লুটেরা।

Bulbul Ahmed

Bulbul Ahmed

সম্প্রতি প্রকাশিত

অব-বিলুপ্তিকরন (De-Extinction)

অব-বিলুপ্তিকরন (De-Extinction, Resurrection Biology, Species Revivalism)

April 15, 2025
সাইবর্গ

সাইবর্গ (Cyborg) এবং সামনের দিনের মানুষ!

April 3, 2025
Human habitation on other planets!

গ্রহান্তরে মানুষের বসবাস- সমস্যা এবং সম্ভাবনা!

March 19, 2025
ADVERTISEMENT

জনপ্রিয় লেখা

মহাকাশ পর্যটন

মহাকাশ পর্যটন; কল্পকাহীনি থেকে বাস্তবতা!

November 2, 2020
নীলগিরি

নীলগিরি ভ্রমণ! মেঘ ছুয়ে দেখার ইচ্ছেটা পূরণ হবে এখানে

February 22, 2021
চাকরির খবর

চাকরি খুজছেন? জেনে নিন চাকরির খবর কোথায় কিভাবে পাবেন।

December 2, 2020
নগদ মোবাইল ব্যাংকিং

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং; সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল আর্থিক সেবা।

November 23, 2020
  • Privacy Policy
  • Home

© 2018 মুক্তপ্রান all right and reserved.

No Result
View All Result
  • মূল পাতা
  • লাইফস্টাইল
  • ভ্রমণ
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • স্বাস্থ্য কথা
  • ইতিহাস
  • রহস্য
  • রিভিউ
  • বৈশ্বিক
  • পরামর্শ

© 2018 মুক্তপ্রান all right and reserved.

This website uses cookies. By continuing to use this website you are giving consent to cookies being used. Visit our Privacy and Cookie Policy.