নিজের অথবা পরিবারের চিকিৎসায় দক্ষ চিকিৎসক বা ভাল ডাক্তার খুঁজছেন? কিন্তু কিভাবে খুজে পাবেন একজন ভাল ডাক্তার? সবাই আশা করে তার কিংবা তার পরিবারের অসুস্থ্য সদস্যটি যেন সুচিকিৎসা পেয়ে ভাল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সার্জারীর অথবা মেডিসিন যেটাই প্রয়োজন হোক, মানুষ খুঁজতে থাকে একজন দক্ষ ও চৌকস সার্জন অথবা একজন দক্ষ চিকিৎসক, যার উপর নির্ভর করে অথবা তত্বাবধানে তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠবেন।
এক্ষেত্রে খোঁজ শুরু হয় বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, পরিচিত কোন চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট, ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি, প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে, তবে ইদানীংকালে অনলাইনে গুগল সার্চ করেও অনেকে ভাল ডাক্তার খুজে থাকেন।
তবে এসব পদ্ধতি আপনাকে প্রাথমিক কিছু ধারণা দিলেও বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই বিভ্রান্তিতে পড়বেন। তাহলে ভাল ডাক্তার খুজে পাওয়ার উপায় কি? আমার এই লেখাটিতে চেষ্টা করেছি সংক্ষিপ্তভাবে আপনাদের একটি ধারণা দেওয়ার, যাতে সহজে নিজেরাই চিকিৎসার জন্য ভাল ডাক্তার খুঁজে পেতে পারেন।
চিকিৎসা পদ্ধতি
একজন ভাল ডাক্তার খোঁজার আগে চিকিৎসার প্রদানের ধাপ সম্পর্কে একটি ধারণা থাকা প্রয়োজন। চিকিৎসা প্রদানের সাধারণত দুইটি ধাপ রয়েছেঃ
- ডায়াগনোসিস বা সঠিক রোগ নির্ণয় এবং
- রোগের সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা।
সাধারণত রোগ নিরূপণ বা ডায়াগনোসিস করাতে সাহায্য করতে পারে জেনারেল প্রাক্টিশনার বা প্রাথমিক চিকিৎসক। তবে প্রয়োজন হলে জেনারেল প্রাক্টিশনার (General Practitioner -GP) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে রোগীকে প্রেরন করতে পারেন।
উন্নত দেশগুলোতে চিকিৎসা প্রদান পদ্ধতি
বাংলাদেশের বাইরে উন্নত দেশগুলোতে উপরে উল্লেখত সিস্টেমই কমবেশি কার্যকর। জেনারেল প্রাক্টিশনারদের জন্য এলাকা নির্দিষ্ট করা থাকে। প্রথমে জেনারেল প্রাক্টিশনার রোগীকে ডায়াগনসিস করবেন, এরপর যদি প্রয়োজন মনে করেন শুধুমাত্র তখনই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে রোগীকে রেফার করবেন। অর্থাৎ কোন রোগী সরাসরি স্পেশালিস্ট ডাক্তারের কাছে যেতে পারবেন না।
ডাক্তার ভিজিটের জন্য আপনাকে সরাসরি টাকা প্রদান করতে হবেনা। আপনার ইন্সিওরেন্স (Insurance) কাভারেজ থেকে চিকিৎসক তার পাওনা টাকা পেয়ে যাবেন। আর যদি অতিরিক্ত খরচ হয় তবে সেটা রোগীর নিজের পকেট থেকে (Out of the pocket expense) পরিশোধ করতে হয়।
কোন কোন দেশে বিত্তবানদের কাছে থেকে ইন্সিওরেন্স বেশি আদায় করে দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার প্রদানের ক্ষেত্রে ইন্সিওরেন্স ফ্রি করে দেওয়া হয়। আপনার চিকিৎসার প্রয়োজন হোক বা না হোক প্রতিমাসে ইন্সিওরেন্স প্রিমিয়ামের টাকা অবশ্যই প্রদান করতে হবে। তাছাড়া এসব দেশের সরকারও স্বাস্থ্যখাতে অনেক ভর্তুকি প্রদান করে অথবা অন্য কোন উৎস থেকে চিকিৎসাখাতের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে থাকে।
আর দেরি না করে (জেনারেল প্রাক্টিশনার হয়ে আসতে দেরি হয়েই যায়) একান্তই যদি সরাসরি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় তবে আপনাকে প্রাইভেটে চিকিৎসক দেখাতে হবে, যেখানে সম্পূর্ণ ব্যায় রোগীর পকেট থেকে প্রদান করতে হয়।
বাংলাদেশের চিকিৎসা প্রদান পদ্ধতি
আমাদের দেশে এলাকা ভিত্তিক জিপি সিস্টেম এখনও গড়ে ওঠেনি, ফলে যে যার মত করে জেনারেল প্রাক্টিশনার বা বিশেষজ্ঞের কাছে যায় এবং টাকার বিনিময়ে অথবা প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে চিকিৎসা সুবিধা আদায় করে নেয়। এটা আমাদের দেশের চলমান এবং বিরাজমান অবস্থা যা প্রথম থেকেই চলে আসছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে একটি নিয়মের মধ্যে আসা প্রয়োজন, তার জন্য একটা সামগ্রিক উদ্যোগ লাগবে।
কিভাবে খুঁজবেন বা বুঝবেন কে দক্ষ চিকিৎসক?
দক্ষ চিকিৎসক খুঁজে পেতে আপনাকে কিছু তথ্যের উপরে নির্ভর করতে হবে, যেগুলো বিশ্লেষন করে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন ডাক্তার আপনার জন্য ভাল হবে। তথ্যগুলো সম্পর্কে নিচে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি।
রোগী এবং আত্মীয়স্বজন থেকে প্রাপ্ত তথ্য
আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত তেমন কোন নির্ভরযোগ্য ডাটাবেস গড়ে ওঠেনি যেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে দক্ষ চিকিৎসক সম্পর্কে একটি সিন্ধান্তে আসা যায়। তবে আশার কথা এই যে, ইতোমধ্যে ডাটাবেইজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই এখন পর্যন্ত তথ্যের জন্য আপনাকে একই ধরণের রোগী বা রোগীর আত্মীয়স্বজন ও পরিচিতজনের দেওয়া তথ্যের উপরেই নির্ভর করতে হবে। এই ধরনের তথ্য যদিও সম্পুর্ন বিভ্রান্তিমুক্ত নয় তারপরেও অনেকখানিই নির্ভরযোগ্য। যা থেকে আপনি একজন দক্ষ চিকিৎসক খুুঁজে পেতে পারেন।
তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে, যিনি মতামত দিচ্ছেন, তিনি হয়ত পুর্বে দেখা দুই একজন রোগীর অভিজ্ঞতার আলোকে মতামত দিচ্ছেন, যা কোনভাবেই বস্তুনিষ্ঠ মতামত দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। তাছাড়া অনেকে আছেন, যারা কোন বস্তুনিষ্ঠ অভিজ্ঞতা না থাকা সত্তেও নানারকম মতামত দিয়ে থাকেন সেগুলোও কোনভাবে গ্রহনযোগ্য নয়।
সাধারণত ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মত রোগের চিকিৎসায় চিকিৎসক সম্পর্কে মনগড়া মন্তব্যগুলো বেশি করে থাকেন। রোগের ডায়াগোনসিস এবং তার সঠিক চিকিৎসা নির্ধারণ সম্পর্কে ব্যাপক পড়াশুনা বা অভিজ্ঞতা না থাকলে এসব রোগ এবং রোগের চিকৎসক সম্পর্কে সঠিক মন্তব্য করা সম্ভব নয়, আর এসব মন্তব্যকরীদের তার কোনটিই থাকেনা। সুতরাং তাদের দেওয়া উপদেশ একটা প্রাথমিক তথ্য হিসাবে কাজে লাগতে পারে তার বেশি কিছু নয়।
তাই এক্ষেত্রে উচিত হবে প্রথমে একজন জেনারেল প্রাক্টশনারের কাছে রোগিকে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া। তারপর সেই জেনারেল প্রাক্টিশনার চিকিৎসকই নির্ধারণ করবেন পরবর্তী চিকিৎসা কোথায় এবং কিভাবে নিতে হবে।
ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য
আজকাল সর্বক্ষেত্রেই তথ্য পেতে ইন্টারনেটের ব্যবহার হচ্ছে। গুগলসহ যেকোন সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে সার্চ করলেই মুহুর্তের ভিতর পেয়ে যাচ্ছেন রিভিউ সহ চিকিৎসকের প্রয়োজনীয় তথ্য। কিন্তু ভেবে দেখা দরকার একজন দক্ষ চিকিৎসক খুঁজে পেতে অনলাইনে থাকা তথ্য কতটা নির্ভরযোগ্য। অনলাইনে পাওয়া তথ্যগুলো যেসকল কারনে পক্ষপাতদুষ্ট (Biased) তা নিচের আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
- অপর্যাপ্ত ও অসম্পূর্ন তথ্যঃ
অনলাইনে পক্ষপাতহীন বা নিরপেক্ষভাবে মতামত বা রিভিউ দিতে হলে প্রথমে অনলাইনে বা সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য থাকতে হবে। তবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অনলাইনে যেসকল তথ্য রয়েছে তা অসম্পুর্ন। ফলে কি কি তথ্যের ভিত্তিতে একজন চিকিৎসকের দক্ষতা-অদক্ষতা নির্ধারিত হচ্ছে তাও স্পষ্ট নয়। - পেইড রিভিউ বা অর্থের বিনিময়ে নাম অন্তভূক্তিঃ
অনলাইনে যেসকল ডেটাবেইজ রয়েছে বা সেকল ওয়েবসাইটে চিকিৎসকদের নাম পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই অনুরোধ অথবা পেইমেন্টের/চাঁদার ভিত্তিতেই দক্ষ চিকিৎসকরে তালিকা প্রনয়ণ করা হয়ে থাকে। আবার কিছু ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকেও মোটা অংকের চাঁদার বিনিময়ে নাম সামনের দিকে এগিয়ে দেওয়ার প্রলোভন তো রয়েছেই। - ভুল ক্যাটাগরিঃ
বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসক ক্যাটাগরিতে উলটাপালটা তথ্য পাওয়া যায়, যেমন কার্ডিয়াক সার্জনদের ভিতর কার্ডিওলজিস্টদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে রাখা হয়। আবার থোরাসিক সার্জনদের ভিতর কার্ডিয়াক বা ভাসকুলার সার্জনদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে রাখতে দেখা যায়। তবে এক্ষেত্রে বলা যায় যে, যথেষ্ট তথ্য না পাওয়ার কারনে এসব ওয়েবসাইটগুলো এমনটা করতে বাধ্য হচ্ছে।
এক কথায় আমাদের দেশে ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্য এখনও পক্ষপাতহীন বা নিরপেক্ষ হয়ে উঠতে পারেনি। হয়তো আমাদের আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে পাবলিক রিভিউসহ সম্পূর্ণ একটি চিকিৎসক ডেটাবেইজ পেতে।
সংখ্যাতাত্ত্বিক বিচার থেকে দক্ষ চিকিৎসক নির্ধারণ
ধরুন একজন সার্জন ১০টা এপেন্ডিসেক্টমি করলো, তার মধ্যে ৭টা ভাল হলো আর বাকী ৩টাতে জটিলতা দেখা দিল। এবার ধরি, আরেকজন সার্জন ১০টা এপেন্ডিসেক্টমি করলো, তার মধ্যে ৫টা ভাল হলো আর ৫টাতে দেখা গেলো জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখানে কোন চিকিৎসককে ভাল বা দক্ষ হিসাবে ধরবেন?
সাধারণত এখানে সংখ্যাতাত্ত্বিক বিচারে প্রথম সার্জন দ্বিতীয় সার্জন থেকে অবশ্যই ভাল, কিন্তু প্রকৃতভাবে কে ভাল সেটা জানতে হলে আপনাকে আরও অনেক তথ্য জানতে হবে। যেমনঃ
প্রথমে জানতে হবে রোগের মাত্রা এবং তীব্রতা সম্বন্ধে। তারপর জানতে হবে রোগীর বয়স, কোমরবিডিটি (অন্যান্য রোগ যেমন ডায়াবেটিস, কিডনী রোগ, লিভারের রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি), ধুমপান, এলকোহল, জর্দা ইত্যাদি নেশা করে কিনা।
এছাড়াও রয়েছে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার। এ সবকিছু মিলিয়ে নিয়ে তারপর বিচার করতে হবে কে ভাল সার্জন আর কে কম ভাল সার্জন। এখন এইসব ক্রাইটেরিয়া (Criteria) নির্ধারণের জন্য ষ্ট্যাণ্ডার্ড (Standard) পদ্ধতি না থাকলে, বিচার করা প্রায় অসম্ভব।
তিন ধরনের অপারেশন রয়েছে যেমন ইমারজেন্সী, আর্জেন্ট, এবং ইলেক্টিভ, আর রয়েছে ক্লিন, ক্লিন কন্টামিনেটেড এবং ইনফেক্টেড অপারেশন। এগুলোর সবকিছুই অপারেশনের ফলাফল এবং জটিলতা নির্ধারণে গুরুত্ত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে থাকে। সুতরাং কে ভাল সার্জন আর কে কম ভাল সার্জন তা নিরূপণ করা বেশ জটিল।
সার্জিক্যাল অডিট
প্রত্যেক সার্জনের উচিৎ বস্তুনিষ্ঠভাবে তার অডিট প্রকাশ করা। কোন কোন দেশে বাধ্যতামূলকভাবে এই অডিট জার্নালে প্রকাশ করতে হয়। মিথ্যা তথ্য দিলে, তথ্য গোপন করলে লাইসেন্স নিয়ে টানাটানি পড়ে যায়। এখান থেকে যে রেটিং প্রকাশ করা হয়, তা জনগন ব্যবহার করতে পারেন, তথ্য নেওয়ার জন্য।
এছাড়া বিভিন্ন দেশে রয়েছে লাইসেন্স রিনিউ (License renew) করার জন্য পরীক্ষা পদ্ধতি। প্রতি ৫বছর অন্তর অন্তর এই পরীক্ষা দিতে হয়। আপ টু ডেট না থাকলে পাশ না করা পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন করা হয়না।
রোগী আর চিকিৎসক উভয়ের স্বার্থ দেখার জন্য রয়েছে সুরক্ষা আইন। আমাদের দেশে এব্যাপারে আলোচনা শুরু হলেও এখনও আইনটি কার্যকর হয়নি। এছাড়া হাসপাতালের লাইসেন্সিং ক্রাইটেরিয়া, নবায়ন প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত করা উচিৎ।
ডিগ্রী আর অভিজ্ঞতার ভিত্তিকে দক্ষ চিকিৎসক নির্ধারণ
বিচিত্র ধরনের সব ডিগ্রী আছে এই দেশে। এর ভিতর কতগুলি বিএমডিসি (BMDC, Bangladesh Medical and Dental Council) কতৃক স্বীকৃত, আবার কতগুলি অস্বীকৃত। আবার কারো কারো ডিগ্রির ঘরে তো ইংলিশ অ্যালফাবেটের প্রায় সবগুলোই রয়েছে।
আমাদের দেশে এগুলো নিয়ে নীতিমালা থাকলেও তা কার্যকরী হয়না কখনও। এছাড়াও রয়েছে আবার কিছু অখ্যাত কুখ্যাত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথাকথিত পিএইচডি ডিগ্রী, সাথে ভুয়া ডিগ্রী, ভুয়া ডাক্তার তো আছেই। এদের মধ্যে আবার কারো কারো ভান্ডারে রয়েছে ৩০/৪০ বছরের অভিজ্ঞতা।
লাইসেন্স নবায়ন পরীক্ষা না থাকায় পড়াশুনা সব লাটে উঠেছে। তাছাড়া নিয়োগ প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা তো আছেই। সুতরাং আমাদের দেশে এগুলো থেকেও কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার আশা নেই। তবে বিপদের কথা হচ্ছে আমাদের দেশে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রয়েছে পেশাদার দালাল শ্রেনী, যারা প্রকৃত তথ্যকে উলটা পালটা করে আপনার সামনে এমনভাবে উপস্থাপন করবে যে, আপনি কনফিউজড হয়ে যাবেন।
প্রকৃত দক্ষ চিকিৎসক খুজে পাওয়ার উপায়
সন্দেহ করুন, প্রশ্ন করুন, তথ্য সংগ্রহ করুন এবং একাধিক তথ্য থেকে যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্তে আসুন। এতে প্রায় নির্ভুল একটা সিদ্ধান্তে আপনি উপনীত হতে পারবেন। স্বার্থপর বিশ্বে সরল বিশ্বাসের কোন জায়গা নেই, এখানে বুদ্ধিমান হতে হবে, চালাক চতুর না হলেও চলবে।
তাই যা দেখছেন বা শুনছেন তাই সরলভাবে বিশ্বাস না করে সন্দেহ করুন, প্রশ্ন করুন বার বার যাচাই করুন। প্রাপ্ত তথ্যগুলো যাচাই করুন এবং সিন্ধান্ত গ্রহণ করুন। সুস্থ্য থাকুন সন্দেহ করুন, প্রশ্ন করুন