বিশ্বের প্রায় বেশিরভাগ দেশেই ড্রোন ব্যবহার করা যায় অনেক সহজে, আর তাই বিনদোন থেকে শুরু করে গবেষনা, কৃষি, নিরাপত্তা সহ আরো অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহার হচ্ছে এই প্রযুুক্তি পন্যটি। তবে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষ এই সুবিধা নিতে পারছে কি?
একটি সময় ছিলো কোথাও ড্রোন ব্যবহার হওয়ার খবর জানলেই সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষ জব্দ করে নিয়ে যেতেন। তবে এখন অবস্থা কিছুটা বদলেছে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) একটি ড্রোন উড্ডয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে, যার মাধ্যমে অনেকটা সুস্পষ্ট হয়েছে কে, কোথায় এবং কিভাবে ড্রোন ব্যবহার করতে পারবেন বা পারবেন না। বিষয়গুলো জানতে এই লেখাটি আপনাকে অনেকটা সাহায্য করতে পারবে।
ড্রোন কি?
ড্রোন হচ্ছে দুর নিয়ন্ত্রিত একটি ছোট আকাশযান। জরুরী সাহয্য পাঠানো থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, কৃষিকাজ থেকে শুরু করে গবেষনা, চলচ্চিত্রের সুটিং, ফটোগ্রাফি, বিনোদন সহ আরো অনেক কাজে ব্যবহার হয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহারের চাহিদা থাকলেও আমাদের দেশে এই দরকারি প্রযুক্তি পণ্যটির বহুবিধ ব্যবহার এতদিন আটকে ছিলো নিয়ম আর নিরাপত্তাজনিত ইস্যুতে।
তবে আশার কথা, সম্প্রতি সরকারের ’ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা ২০২০’ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এখন ড্রোন ব্যবহারকারীরা অনেকটা সহজে ড্রোন ব্যবহার করতে পারবেন।
বিশ্ব বাজারে ড্রোন ক্যামেরা চাহিদা
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান চীনের ডিজেআই (DJI), আর বাংলাদশে যে সমস্ত ড্রোন আমদানি হয়ে আসে তার সবই মূলত চীন থেকে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ড ভিউ রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপি ড্রোনের বাজার ছিল ৫৮০ কোটি ডলার, যা আগমী ২০২৫ সাল নাগাদ গিয়ে দাড়াবে ১৩ হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি।
বাংলাদেশে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার
বর্তমানে চীন থেকে বাংলাদেশে যে প্রতিষ্ঠানগুলো ড্রোন আমদানি করে তার মধ্যে Drone Bangladesh, Nextgear ও Startech অন্যতম এবং এতদিনে এগুলোর প্রধান ক্রেতা ছিল মুলত পুলিশসহ বাংলাদেশের সব ধরনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানায়ও কিছু কিছু ড্রোন ব্যবহার হয়ে আসছিলো তবে তা অনেক নিয়ম মেনে অথবা চুরি করে। প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজারের মতো ড্রোন ও ড্রোন ব্যবহারকারী রয়েছে।
গত ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক/ব্যাক্তিগত ড্রোন ব্যবহারের অনুমিতি দিলেও তা ছিলো অনেকটা কঠোর নিয়ম মেনে সীমিত পরিসরে। যার কারনে এই প্রযুক্তি পণ্যটির বহুবিধ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিলো বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা।
ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা
বাংলাদেশে ড্রোন ক্যামেরা বা ড্রোনের ব্যবাহার ’ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা ২০২০’ এর মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ড্রোন কে ওড়াতে পারবেন, কোথায় ওড়াতে পারবেন এবং কোন ধরনের ড্রোন ওড়াতে অনুমতি লাগবে তার সবই সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট করে গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটি। আসুন জেনে নেওয়া যাক ড্রোন ওড়াতে হলে কি কি শর্ত মানতে হবে এবং কি কি বিষয় জানতে হবে।
ড্রোনের শ্রেণি
ড্রোন ব্যবহার ও উড্ডয়নের অনুমতি প্রদানের সুবিধার্থে এর ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে মোট ৪টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে-
- ক-শ্রেণিঃ শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য যে ড্রোন ব্যবহার করা হবে।
- খ-শ্রেণিঃ শিক্ষা ও গবেষণার মতো অ-বাণিজ্যিক কাজে সরকারি/বেসরকারি সংস্থা/ব্যক্তি কর্তৃক ব্যবহার।
- গ-শ্রেণিঃ জরিপ (Survey), স্থিরচিত্র, চলচ্চিত্র নির্মাণ, পণ্য পরিবহণ-এর ন্যায় বাণিজ্যিক ও পেশাদার কাজে ব্যবহার।
- ঘ-শ্রেণিঃ রাষ্ট্রীয়/সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহার।
জোন ভিত্তিক ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার
ড্রোন ব্যবহার / উড্ডয়ন নিয়ন্ত্রণের সুবিধার জন্য বাংলাদেশের সমস্ত এলাকাকে গুরুত্ব ও নিরাপত্তা বিবেচনায় তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং নিদৃষ্ট করা হয়েছে কোথায় ড্রোন ওড়াতে অনুমতি লাগবে আর কোথায় লগাবেনা।
১. গ্রিন জোন
- বিমানবন্দর/কেপিআই সীমানার ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার-এর মধ্যে ভুমি থেকে ৫০ ফুট (১৫.২৪ মিটার) উচ্চতা।
- বিমানবন্দর/কেপিআই-এর ৫ কিলোমিটার বাইরে এবং ভুমি থেকে ১০০ ফুট (৩০.৪৮ মিটার) উচ্চতার মধ্যে।
উপরে উল্লেখিত গ্রিন জোন সীমানার মধ্যে ড্রোন ব্যবহারের জন্য কোনো প্রকার অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
২. ইয়েলো জোনঃ
ইয়োলো জোনে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের অনুমতি-সাপেক্ষে ড্রোন উড্ডয়ন ও পরিচালনা করা যাবে। নিচে উল্লেখিত এলাকাগুলো ইয়েলো জোনের অন্তর্ভুক্তঃ
- সংরক্ষিত এলাকা (Restricted Area)
- সামরিক এলাকা (Military Area)
- ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা (Populated Area)
- জনসমাগমপূর্ণ এলাকা (Congested Area).
৩. রেড জোনঃ
রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন ও পরিচালনার জন্য প্রযোজন হবে বিশেষ অনুমতি, নিচের উল্লেখিত জায়গাগুলো রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত।
- বিপজ্জনক এলাকা (Danger Area): অর্থ সুনির্দিষ্ট কোনো আকাশসীমা যার অভ্যন্তরে কোনো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিমানের উড্ডয়ন বিপজ্জনক।
- নিষিদ্ধ এলাকা (Prohibited Area): অর্থ রাষ্ট্রের ভূমি অথবা আঞ্চলিক জলসীমার উপরিভাগের কোনো সুনির্দিষ্ট আকাশসীমা যার অভ্যন্তরে যে কোনো বিমানের উড্ডয়ন নিষিদ্ধ,
- বিমানবন্দর এলাকা/ কেপিআই এলাকা।
ড্রোন নিবন্ধন
যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ড্রোন ব্যবহারের জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিবন্ধন ও পরিচিতি নম্বর নিতে পারবেন। নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করতে হবে।
(ক) ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির ড্রোন বেবিচক-এর ANO-তে নির্ধারিত ফর্মে ও পদ্ধতিতে আবেদন করে ড্রোনের নিবন্ধন/পরিচিতি নম্বর গ্রহণ করতে হবে। (নির্ধারিত ফরম ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন এখানে।)
(খ) ‘ক’ শ্রেণির ড্রোন ১০০ ফুটের (৩০.৪৮ মিটার) বেশি উচ্চতায় উড্ডয়ন ক্ষমতাসম্পন্ন হলে অথবা ৫ কেজির (Payload-সহ) বেশি ওজনের হলে উক্ত ড্রোনের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।
(গ) ড্রোন নিবন্ধনের জন্য যে সকল কাগজপত্রাদি বেবিচক-এর নিকট প্রদান করতে হবেঃ
- ড্রোন ব্যবহারের উদ্দেশ্য
- স্পেসিফিকেশনের কপি
- ড্রোন ক্রয়ের রশিদ
- বিটিআরসি-এর প্রত্যয়নের কপি
- আবেদনকারীর ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
- মোবাইল ফোন নম্বর
- ড্রোন উড্ডয়নকালে সৃষ্ট যে-কোনো অযাচিত জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার পরিকল্পনা
- প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তিপত্র (প্রযোজ্যক্ষেত্রে), এবং
- বেবিচক-এর চাহিদা মোতাবেক অন্যান্য কাগজপত্র/তথ্য।
(ঘ) বেবিচক, বিটিআরসি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ‘অনাপত্তি’ / প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ, নিবন্ধন ও উড্ডয়নের অনুমতি প্রাপ্তির পদ্ধতি সম্পর্কে জনসাধারণের অবগতির জন্য প্রচার করবে।
(ঙ) ড্রোন ব্যবহারের সময় সৃষ্ট যে-কোনো পরিস্থিতির (ড্রোনের ব্যাটারি/ উড্ডয়নের শক্তি ফুরিয়ে যাওয়া, ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণসীমার বাইরে চলে যাওয়া, ড্রোনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা, অনিচ্ছাকৃত কারণে কোনো প্রাণি সম্পত্তির ক্ষতি) মোকাবিলার জন্য লিখিত পরিকল্পনা থাকতে হবে।
(চ) ৫ কেজির (Playload-সহ) ঊর্ধ্বে এবং ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির ড্রোনের ফ্রিকোয়েন্সি অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থার (রেডিও, টেলিভিশন, মোবাইল, স্যাটেলাইট ও এভিয়েশন) জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী নয় মর্মে বিটিআরসি-এর প্রত্যয়ন সংগ্রহ করতে হবে।
ড্রোন ব্যবহারের সাধারণ শর্তাবলী
- ড্রোন নিবন্ধন নম্বর বা ড্রোন পরিচিতি নম্বর (Identification Number) নিবন্ধিত ড্রোনের গায়ে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে ও রঙে ড্রোন ব্যবহারকারী নিজস্ব দায়িত্বে লিপিবদ্ধ করবে।
- বিশেষ অনুমতি ব্যতীত, ভিভিআইপি-এর সভা/সমাবেশ স্থানের ২ কিলোমিটারের মধ্যে অনুষ্ঠানের ৩ দিন আগে থেকে ‘ঘ’ শ্রেণি ব্যতীত সকল শ্রেণির ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ থাকবে।
- যে কোনো খোলা স্থানে সভা/সমাবেশ অথবা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কোন ইভেন্ট চলাকালীন উক্ত স্থানের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে, শুধু উক্ত ইভেন্ট-এর জন্য নির্ধারিত ‘ঘ’ শ্রেণি ব্যতীত সকল শ্রেণির ড্রোন উড্ডয়নের ক্ষেত্রে বেবিচক কর্তৃক প্রণীত নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
- ড্রোন উড্ডয়নকালে বেবিচক কর্তৃক প্রদত্ত অনুমোদনের কপি ড্রোন চালক সার্বক্ষণিকভাবে নিজের সাথে বহন করবেন এবং বেবিচক, অভ্যন্তরীণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অন্যান্য সরকারি নিরাপত্তা/গোয়েন্দা সংস্থাকে প্রদর্শন করতে বাধ্য থাকবেন।
- সম্ভাব্য যে কোনো জটিলতা এড়াতে ড্রোন চালক (ক শ্রেণি ও Green Zone ব্যতীত), ড্রোন উড্ডয়নের পূর্বে নিজ দায়িত্বে স্থানীয় থানাকে ড্রোন উড্ডয়নের বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করবে।
- ‘ক’ শ্রেণির অনূর্ধ্ব ৫ কেজির (Payload-সহ) অথবা ১০০ ফুটের (৩০.৪৮ মিটার) কম উচ্চতায় উড্ডয়ন সক্ষম ড্রোন বিনোদন হিসাবে উড্ডয়ন ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে ড্রোন চালকের বয়স নুন্যতম ১৮ বছর ও এসএসসি পাশ হতে হবে।
- যে কোন ধরনের ড্রোন বিশেষ অনুমতি ছাড়া রাতে ওডানো যাবে না।
- বেবিচক নির্ধারিত পদ্ধতিতে ড্রোন চালক ড্রোন উড্ডয়নের সার্টিফিকেট/প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করবেন।
ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালার সম্পূর্ন কপিটি দেখতে অথবা ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
কোথায় পাবেন ড্রোন
বাংলাদেশে ড্রোন উড্ডয়ন, ব্যবহার ও আমদানি উপর কঠোর নিয়ম থাকায় খুব অল্পকিছু প্রতিষ্ঠানই আছে যারা সরাসরি দেশের বাইরে থেকে ড্রোন আমদানী ও বিক্রয় করছে। নিচে তেমনই কিছু ড্রোন আমদানীকারক ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে।
Drone Bangladesh
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানাঃ বাসা নং ৩৪/৩, জিগাতলা পুরাতন বাজার, ধানমন্ডি, ঢাকা ১২০৯।
Bdstall.com
মোবইল: +(88) 01612378255
ই-মেইল: [email protected]
সাড়া বাংলাদেশ থেকে অর্ডার করে পণ্য নিতে পারবেন।
Nextgear
মোবইল: +(88) 096 1717 1245; 017 1743 3752
ই-মেইল: [email protected]; [email protected]
ঠিকানাঃ ১০৮ কাজি নজরুল ইসলাম এভিনিউ, বাংলামটর, ঢাকা।
Startech
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানাঃ ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ব্রাঞ্চ রয়েছে কম্পানিটির।
উপরে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বাংলাদেশের অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ ও আজকের ডিলে কিছু ছোট খেলনা ড্রোন পাওয়া যায় আর ফিজিকাল স্টোরে কিনতে হলে আপনাকে যেতে হবে ঢাকার স্টেডিয়াম মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, মাল্টিপ্লান ও আইডিবি ভবন।
ভবিষ্যৎ ড্রোন বাজার
প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে দেশে প্রযুক্তির ব্যবহারও বাড়বে, এবং সকলে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার সুবিধাও নিতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে ব্যবহৃত ড্রোনগুলোর বেশিরভাগই দেশের বাইরে থেকে আমদানী করা হয়।
তবে পাশাপাশি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও ফরমায়েসি কিছু ড্রোন তৈর করছে। যা আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে দেশীয় চাহিদা মেটাতে ড্রোন উৎপাদনের। প্রযুক্তিকে বন্ধ করে নয়, প্রয়োজন প্রযুক্তিকে আয়ত্বে এনে তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত করা, আর এতেই সম্ভব প্রযুক্তিগত উন্নয়ন।
আরো পড়ুনঃ
অনলাইন শপিং; প্রতারণা এড়াতে যে বিষয়গুলো জানা জরুরী!
এয়ার কন্ডিশনার (Air Conditioner) কিনবেন? কেনার আগে বিস্তারিত জেনে নিন!
প্রফেশনাল প্রডাক্ট ফটোগ্রাফির জন্য ভাল DSLR ক্যামেরা