বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে ২০২০ সালে বাংলাদেশে ২৫ হাজারের কিছু বেশী লোক রোড এক্সিডেন্টে মারা যান, যা সমস্ত মৃত্যুর প্রায় ৩.৫%। এর মধ্যে হেড ইনজুরি,স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি, হাত-পা ভাঙ্গা, পেটের আঘাত, বুকের আঘাত ইত্যাদি আলাদাভাবে অথবা একইসঙ্গে (Polytrauma Victims) রয়েছে।
এর সঙ্গে যোগ হবে ৩-৪ গুণ লোক, যারা হয়তো মারা যাননি, কিন্তু মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন ধরনের পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে আছেন।
ট্রমা বা আঘাতজনিত অবস্থা কি?
ট্রমা বা আঘাতজনিত অবস্থা বলতে সাধারণত বোঝায়, শারীরিক বা মানসিক কোন আঘাত, তা হতে পারে পথ দুর্ঘটনা থেকে বা আগুন লাগা থেকে বা পুড়ে যাওয়া থেকে। আবার এটি হতে পারে যে কোনরকম হিংস্রতা থেকে অথবা যে কোন রকম শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থেকে।
ট্রমা বা আঘাতজনিত অবস্থা থেকে মৃত্যূর ধরণ
তুলনামুলকভাবে পুরুষেরাই রোড এক্সিডেন্টে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হন কারন আয়-উপার্জনের জন্য এদেরকেই বেশী চলাফেরা করতে হয়। শিশুরাও তাদের শারীরিক নির্ভরতার কারনে সহজেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আঘাত মূলত দুই ধরনের,
১) ধারালো কিছুর দ্বারা আঘাত (ছুরি, চাকু, কাচ, বল্লম বা বুলেটের আঘাত ইত্যাদি)
২) ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত (ব্লান্ট ট্রমা, ব্লাস্ট ট্রমা ইত্যাদি)।
উভয় ধরনের ট্রমাই মারাত্মক হতে পারে। কোন কোন সময় ধারালো এবং ভোঁতা আঘাত দুটোই একত্রে থাকতে পারে। এছাড়াও অন্য ধরনের ট্রমা রয়েছে, যেমন, কেমিক্যাল ইনজুরি, পুড়ে যাওয়া বা বার্ন, মূখমন্ডল, চোখের বা শ্বাস-নালীর ট্রমা ইত্যাদি। ব্লান্ট ট্রমা অনেকসময় উপর থেকে বুঝা না গেলেও এটা ভিতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে থাকে এবং অনেকসময় সঠিকভাবে আঘাতের তীব্রতা বুঝতে না পারার কারনে চিকিৎসা শুরু করতে দেরী হয়ে যায়।
ট্রমা এবং এর ম্যানেজমেন্ট একটা ব্যাপক বিষয় এবং স্বল্পপরিসরে এর বিস্তারিত বর্ননা দেওয়া সম্ভব নয়, এজন্য এর একটা সারসংক্ষেপ এখানে আলোচিত হবে।
আঘাতজনিত মৃত্যুর ধরন
প্রথাগতভাবে আঘাতজনিত মৃত্যুর ধরনকে তিনভাগে ভাগ (Trimodal pattern of Death) করা হয়েছে।
১) সাথে সাথে বা তাৎক্ষনিক মৃত্যু (Immediate death):
এখানে আঘাত এতই তীব্র বা মারাত্মক থাকে যে রোগীর প্রায় সাথে সাথেই মৃত্যু হয়। সাধারণত কোন বড় রক্তনালী, হার্ট, ব্রেন বা ফুস্ফুসের মারাত্মক আঘাতের ফলে এমনটা হয়। চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার কোন সময় বা সুযোগ এখানে থাকে না।
এই ধরনের এক্সিডেন্ট যাতে না ঘটতে পারে তারজন্য রাস্তাঘাটের সংস্কার, ট্রাফিক আইন যথাযতভাবে মেনে চলা ইত্যাদির উপর জোর দেওয়া হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা সম্পুর্নভাবে নির্মূল করা না গেলেও নানারকম পরিকল্পনার মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি বা মৃত্যু অনেকখানি কমিয়ে আনা যায়।
২) শীঘ্র মৃত্যু (Early death)
সাধারণত ১-৩ ঘন্টার ভিতরে এখানে মারাত্মক মস্তিষ্কে ভিতরে রক্তক্ষরন, বুকের ভিতর রক্তক্ষরন, পেল্ভিক বা বড় কোন অস্থি ভেঙ্গে যাওয়া, পেটের ভিতর লিভার,স্প্লীন ইত্যাদির আঘাত এইসব কারনে হয়। এখানে ঠিকমত ব্যবস্থা নেওয়া গেলে অনেককেই বাঁচানো সম্ভব। ঘটনার এই প্রথম ১-২ ঘন্টাকে এইজন্য গোল্ডেন আওয়ার (Golden hour) বলা হয়ে থাকে। পরিকল্পিত ট্রমা মানেজমেন্ট এই পর্যায়ে মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে পারে।
৩) বিলম্বিত মৃত্যু (Late death)
সাধারণত সপ্তাহখানেক পর থেকেই ইনফেকশন, সেপসিস এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন অঙ্গ সমূহের কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়ার ফলে (Multiorgan failure) রোগীর মৃত্যু ঘটে।কৃটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের (Critical care medicine) ভাল ব্যবস্থাপনা এবং আরও রিসার্চ এখানে ভাল ফল বয়ে আনতে পারে।
আঘাতের ফলে উদ্ভূত অঙ্গহানির তীব্রতা নির্ধারন
বিভিন্ন ধরনের স্কোরিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে ট্রমার তীব্রতা এবং প্রচন্ডতা নিরুপনে। যেমন গ্লাসগো কমা স্কেল (Glasgow coma scale) ব্যবহৃত হয়েছে হেড ইনজুরির তীব্রতা নির্ধারনে, অ্যাপাচি স্কোর (APACHE score- Acute Physiology and Chronic Health Evaluation scorel- lll) ব্যবহৃত হয়েছে সমস্ত শরীরের কাজকারবার মাপামাপির জন্য, একটার সাথে অন্যগুলি যোগ করে আবার বিভিন্ন স্কেল যেমন ISS (Injury severity score), TISS (Trauma injury severity score), RTS (Revised Trauma score) ইত্যাদি।
এগুলোর সাহায্যে আঘাতের তীব্রতা ছাড়াও বিভিন্ন কো-মরবিড রোগবালাই থাকলে শরীর কিভাবে প্রতিক্রিয়া করবে সেটা, বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে কোনটা বেশী উপযুক্ত হবে সেটা বেছে নেওয়া, বিভিন্ন ধরনের গবেষণার মাধ্যমে সবচেয়ে ভাল চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা, বিভিন্ন গবেষণার মধ্যে তুলনা করা ইত্যাদি নানাবিধ কর্ম করা হয়ে থাকে।
এছাড়াও কোন রোগীর মৃত্যু সম্ভাবনা কতটুকু, রোগীর আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলা, রোগী অরগ্যান ডোনেট করতে পারবে কিনা তা নির্ধারন ইত্যাদি নানা বিষয় নির্ধারনে স্কোরিং সিস্টেম অত্যন্ত গুরুত্ববহন করে থাকে।
এখন পর্যন্ত চালু থাকা স্কোরিং এর সার সংক্ষেপ নীচে উপস্থাপন করা হলো। সহজেই অনুমেয় এগুলো মুখস্ত রাখা সম্ভব নয়, লিখিত চেক লিস্টের মাধ্যমে এগুলো পুরণ করা হয়।
- physiologic
- Revised Trauma Score (RTS)
- Acute Physiology and Chronic Health Evaluation (APACHE)
- Sequential Organ Failure Assessment Score (SOFA)
- Systemic Inflammatory Response Syndrome Score (SIRS)
Emergency Trauma Score
- anatomic
- Abbreviated Injury Score (AIS)
- Injury Severity Score (ISS)
- New Injury Severity Score (NISS)
- Anatomic Profile (AP)
- Penetrating Abdominal Trauma Index (PATI)
- ICD-based Injury Severity Score (ICISS)
- Trauma Mortality Prediction Model (TMPM-ICD9)
- combined
- Trauma Score – Injury Severity Score (TRISS)
- A Severity Characterization of Trauma (ASCOT)
- International Classification of Diseases Injury Severity Score (ICISS)
- Ganga Hospital Open Injury Score (GHOIS)
ট্রমা মানেজমেন্ট
মানেজমেন্টের দুইটা অংশ
১) রোগ নির্নয় ২) চিকিৎসা প্রদান। ট্রমার ক্ষেত্রে এ দুটোই পাশাপাশি চলে। নিচে ট্রমা ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন দিকগুলো বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করছি।
১) ঘটনাস্থলে চিকিৎসা (Pre-hospital management)
সবচেয়ে ভাল হয় যদি একজন ভাল লীডারসহ একটা ট্রমা মানেজমেনট টীম এই দায়িত্ব নিতে পারে। বেশীরভাগ সময়ই এটা সম্ভব হয়না দক্ষ এবং উপযুক্ত জনবলের অভাবে। সুতরাং স্থানীয় জনগন যাদের কিছুটা মেডিক্যাল অভিজ্ঞতা আছে অথবা যাদের প্রাথমিক চিকিতসার ট্রেনিং আছে তাদেরকেই এই ব্যবস্থা নিতে হবে।
একজনকে লিডার হিসাবে সমন্বয়কের ভূমিকা নিতে হবে। তিনি মূলত নেতৃত্বের ভুমিকা পালন করবেন, খুব প্রয়োজন না হলে ভিক্টিম স্থানান্তর অথবা চিকিৎসা প্রক্রিয়াই অংশগ্রহন করবেন না। প্রথমেই একজন ৯৯৯ নম্বরে টেলিফোন করে এক্সিডেন্টের সংক্ষিপ্ত বর্ননা দিয়ে সাহায্য চাইবেন। ঘটনাস্থলে যাতে আরও কোন ইনজুরি না হয় সেজন্য ভিক্টিমদেরকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
ঘটনাস্থলে শুধু প্রারম্ভিক চিকিৎসা দেওয়া যাবে। প্রথম সুযোগেই ভিক্টিমদেরকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। যোগাযোগ করতে হবে পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড, অ্যাম্বুলেন্স টীম এবং আশেপাশের হাসপাতালে বা চিকিৎসা কেন্দ্রে। রোগীকে সরানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যে ভিক্টিম গলার হাড়ে, স্পাইনাল কর্ডে, বা হাত পায়ের হাড় ভেঙ্গে গিয়েছে কিনা। এসব জায়গায় আঘাত থাকলে স্প্লিন্ট বেঁধে অথবা প্রয়োজনে একপায়ের সাথে অপর পা বেঁধে তারপর ভিক্টিমকে সরাতে হবে, তা না হলে রোগীর স্পাইনাল কর্ডে চাপ পড়ে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। গলার হাড়ের জন্য সারভিক্যাল কলার অত্যন্ত কার্যকরী।
আহতদের ভাগ করতে (Triage) হবে তাদের আঘাতের মাত্রা অনুযায়ী। যেমন:
- Priority l
শ্বাসনালীতে বাধা, রক্তসরবরাহে বাধা, হেড ইনজুরি হয়েছে এমন ব্যাক্তিদেরকে প্রথম প্রাধান্য দিতে হবে চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে। - Priority-ll
বড় ধরনের ইনজুরি কিন্তু প্রাণঘাতী নয় যেমন রক্তক্ষরন, লিম্ব ফ্রাকচার, মাংসপেশি বা নাড়ীভুড়ির ইনজুরিকে দ্বিতীয় প্রাধান্য দিতে হবে। - Priority-lll
এর পরের প্রধান্য দিতে হবে যাদের ছোটখাটো ইনজুরি রয়েছে তাদেরকে।
বলাই বাহুল্ল্য যে, এইসব বাছাবাছির প্রক্রিয়া আর চিকিৎসা প্রক্রিয়া একইসঙ্গে চলতে থাকবে।
সবসময় BLS (Basic Life Support) এর নিয়মানূযায়ী CPR (Cardiopulmonary Resuscitation) করতে হবে। একজন অথবা দুইজন মানুষ একত্রে ভিক্টিমের হার্ট এবং লাংসের কাজ চালু রাখার জন্য এই CPR পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে। বিদেশে এখন বড় বড় শপিং সেন্টার, পাব্লিক প্লেসে ডিফিব্রিলেটর (Defibrillator) এর ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে সার্বক্ষনিকভাবে CPR team কাজ করে। বিভিন্ন নন-মেডিক্যাল পারসনেরাও CPR এবং BLS এর ট্রেনিং নিতে পারে। আমাদের দেশে এখন এই ট্রেনিং জরুরী হয়ে পড়েছে।
রিসাসসিটেশনের সময় ABCDE (Airway, Breathing, Circulation, Disability, Exposure/Evacuation) এই ক্রম মেনে চলতে হবে। আমরা পরবর্তী কোন নিবন্ধে CPR সম্বন্ধে আলোচনা করব।
জরুরী ভিত্তিতে কোন কোন সময় রোগীকে ইন্টিউবেশন করা, চেষ্ট টিউব দেওয়া, আই ভি লাইন চালু করা, কিছু ঔষধ পত্র আই ভি রুটে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে একজন দক্ষ চিকিৎসকের উপস্থিতি একান্তভাবে প্রয়োজন।
২) হাসপাতালে চিকিৎসা (In hospital treatment)
হাসপাতালে আসার পর আবার প্রাথমিক সার্ভে (Primary survey) করা হয়। সেই একই ক্রমানুসারে ABCDE রোগীকে পরীক্ষা করা হয়, একই ট্রাইয়েজ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হয়। এখানে প্রয়োজন অনুযায়ী ডিফিব্রিলেটর, ইন্টিউবেশন, ভেন্টিলেশন, মনিটরিং, ব্লাড-গ্যাস এনালাইসিস, এন্টিবায়োটিক, আইনোট্রোপ সা্পোর্ট ইত্যাদি দেওয়া হয়। ব্লাড গ্রুপিং এবং ক্রস ম্যাচিং করা হয়। রক্তের সাধারন পরীক্ষা, ইলেক্ট্রলাইট পরীক্ষা করা হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে রোগীর রিসাসসিটেশন, পরীক্ষা-নিরিক্ষা, সার্জারী একইসাথে চলতে থাকে। খুব খারাপ ক্ষেত্রে সার্জারীকে অত্যন্ত গুরুত্ত্ব দেওয়া হয় এবং কোন কোন সময় তা জীবন রক্ষাকারী হতে পারে। প্রাইমারী সার্ভে এবং চিকিৎসা দেওয়ার পর রোগী স্থিতিশীল হলে সেকেন্ডারী সার্ভে (Secondary survey) করা হয়।
এখানে প্রাথমিক চিকিৎসার ফলাফল দেখা হয়, কোন লক্ষন মিস হয়ে গেলে সেটা পুনরায় সনাক্ত করা হয়, রোগীর কোন কোমরবিডিটি থাকলে তার এসেসমেন্ট করা হয়, রোগ নির্ণয়ে জন্য মেডিকেল ইমেজিং (এক্স-রে, আল্ট্রা সাউন্ড স্ক্যান, সিটি স্ক্যান, এম আর আই) এবং অন্যান্য ইনভেস্টিগেশন করা হয়। প্রয়োজনে ব্লাড ট্রান্সফিউশন দেওয়া হয়।সার্জারীর প্রয়োজন হলে তা করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তির ২৪ঘন্টা পরে সাধারণত টার্সিয়ারী সারভে (Tertiary survey) করা হয়। রোগীর কোন কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পর্যবেক্ষনের জন্য রেখে দিলে টার্সিয়ারী অব্জারভেশনে তার কার্যক্ষমতা/ কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়, প্রয়োজনে অঙ্গ ছেদনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
কোন কোন সময় বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে রোগীকে ঐ বিশেষ চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
কিভাবে ও কোথায় পাবেন জরুরী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স (Air ambulance) ও হেলিকপ্টার সেবা! জানতে পড়ুন: জরুরী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স (Air ambulance) ও হেলিকপ্টার সেবা!
রিহাবিলিটেশন
রোগীর চিকিৎসা শেষ হলেই তার কর্মক্ষমতা ফেরত আসে না। কোন কোন সময় দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়। এম্পুটি দের ক্ষেত্রে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন, প্রস্থেসিস এর ট্রেনিং, বৃত্তি পরিবর্তন ইত্যাদি লাগতে পারে। কারোর কারোর ক্ষেত্রে সারাজীবনই এই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
শেষ কথা
দুর্ঘটনা সবসময়ই অনভিপ্রেত, তারপরেও দুর্ঘটনা ঘটে যায়। চেষ্টা করতে হবে যাতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে, রাস্তাকে প্রশস্ত ও নিরাপদ করতে হবে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা যুগোপযোগী করতে হবে। তাতে এইসব আঘাতজনিত সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।