ADVERTISEMENT
মুক্তপ্রান
  • মূল পাতা
  • লাইফস্টাইল
  • ভ্রমণ
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • স্বাস্থ্য কথা
  • ইতিহাস
  • রহস্য
  • রিভিউ
  • বৈশ্বিক
  • পরামর্শ
No Result
View All Result
মুক্তপ্রান
  • মূল পাতা
  • লাইফস্টাইল
  • ভ্রমণ
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • স্বাস্থ্য কথা
  • ইতিহাস
  • রহস্য
  • রিভিউ
  • বৈশ্বিক
  • পরামর্শ
No Result
View All Result
মুক্তপ্রান
No Result
View All Result

নোবেল প্রাইজ; কারা হলেন এবারের নোবেল লরিয়েট?

Bulbul Ahmed by Bulbul Ahmed
October 10, 2020
in বিশ্ব
A A
0
নোবেল পুরস্কার ২০২০
6
SHARES
9
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

সম্প্রতি ঘোষনা করা হয়েছে নোবেল প্রাইজ ২০২০, সফল এবং অসাধারন গবেষণা, উদ্ভাবন এবং মানব কল্যাণে পরিচালিত কার্যক্রমের জন্য সারা পৃথিবী থেকে নির্বাচিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়ে থাকে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এই পদক। আর নোবেল প্রাইজ প্রাপ্তদেরকে আখ্যায়িত করা হয় ’নোবেল লরিয়েট’ নামে।

নোবেল প্রাইজ শুরুর ইতিহাস

আলফ্রেড নোবেল একজন বিখ্যাত সুইডিশ রসায়নবিদ ও শিল্পপতি, তারই উইল অনুসারে নোবেল পুরস্কার এর প্রচলন। আলফ্রেড নোবেলের আবিষ্কারগুলোর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় ছিলো ডিনামাইট। যা তাকে প্রচুর অর্থ এনে দেয়, আর এই আয়ের অর্থ থেকেই তিনি তার উইলে নোবেল পুরস্কার প্রদানের কথা উল্লেখ করে যান।

আলফ্রেড নোবেল তরা লেখা উইলগুলোর মধে সর্বশেষটি লিখেছিলেন তার মৃত্যুর ঠিক এক বছর আগে ১৮৯৫ সালের ২৭ নভেম্বর। মুলত তার আবিষ্কার করা ডিনামাইট যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাপক ব্যবহার ও প্রানহানির করন হওয়ায় তিনি শঙ্কিত হয়ে ওঠেন। যার প্রেক্ষিতে তিনি তার সম্পদের ৯৪ ভাগ দান করেন নোবেল পুরষ্কার প্রদানের জন্য।

যার প্রেক্ষিতে ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র, সাহিত্য এবং শান্তি এই ৫টি বিষয়ে নোবেল পুরস্কার প্রচলন করা হয় এবং পরে অর্থনীতি বিষয়টি অন্তভুক্ত হয় ১৯৬৯ সালে।

অর্থনীতিতে নোবেল প্রাইজ চালু

সুইডেনের সেন্ট্রাল ব্যাংক (Sveriges Riksbank) ১৯৬৮ সালে তাদের ৩০০তম বার্ষিকী পূর্ন করে। আর এই উপলক্ষে তারা নোবেল ফাউন্ডেশনকে একটি বড়ো অঙ্কের অর্থ প্রদান করে যাতে করে নোবেলের সম্মান রক্ষার্থে প্রাইজ তালিকাতে আরো একটা বিষয় অন্তভুক্ত করা যায়।

এরই প্রেক্ষিতে পরের বছর অর্থাৎ ১৯৬৯ সাল থেকে চালু করা হলো ’Sveriges Riksbank Prize in Economic Sciences in Memory of Alfred Nobel’। অর্থাৎ চলতি ভাষায় যাকে বলা হয় ’অর্থনীতিতে নোবেল স্মারক পুরস্কার’। এটি প্রথমবার পেয়েছিলেন Jan Tinbergen এবং Ragnar Frisch।

নোবেল প্রাইজ প্রদানের স্থান

দুটি জায়গা থেকে নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয় তার মধ্যে শুধুমাত্র নোবেল শান্তি পুরস্কারটি নরওয়ের আসলো থেকে আর বাকিগুলো প্রদান করা হয় সুইডেনের স্টকহোম থেকে। নোবেল ফাউন্ডেশনের প্রধান লারস হেইকেনস্টেন এর ঘোষনা অনুযায়ী এ বছর থেকে নোবেল পুরস্কার ১০ লাখ ক্রোন বা প্রায় এক লাখ ১০ হাজার ডলার বেশি দেয়া হবে। যা বর্তমানে ইউএস ডলার হিসাবে দাড়ায় ১১ লাখ।

নোবেল প্রাইজ ২০২০ বিস্তারিতঃ

০৫ অক্টবর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে নোবেল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল প্রাইজ ২০২০ শুরু হয়েছে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কে বা কারা কোন বিষয়ে অর্জন করলেন এবারের নোবেল পুরষ্কার।

১. চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল প্রাইজ ২০২০

চিকিৎসা শাস্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর নোবেল পুরস্কার পেলেন সমানভাবে ৩ জন বিজ্ঞানী, তারা হলেনঃ

  1. হার্ভে জে আল্টার (যুক্তরাষ্ট্র), মোট পুরস্কারের ১/৩ অংশ
  2. চার্লস এম রাইস (যুক্তরাষ্ট্র), মোট পুরস্কারের ১/৩ অংশ
  3. মাইকেল হাউটন (যুক্তরাজ্য), মোট পুরস্কারের ১/৩ অংশ
চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল প্রাইজ ২০২০ বিজয়ী
চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল বিজয়ী। Image source: www.nobelprize.org

চিকিৎসা শাস্ত্রে যে অবদানের জন্য নোবেলঃ

হেপাটাইটিস (Hepatitis) এ ও বি শনাক্ত হয়েছে অনেক আগেই কিন্তু বিজ্ঞানীরা হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলেন। ‘হেপাটাইটিস সি ভাইরাস আবিষ্কারের জন্য এবারের চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

নোবেল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, সারা বিশ্বের অসংখ্য মানুষ রক্তবাহিত হেপাটাইটিসের ফলে সিরোসিস ও পাকস্থলীর ক্যানসারে ভোগেন। এই তিন গবেষক তাদের আবিষ্কারের মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি রোগ মোকাবিলায় সারা বিশ্বকে নতুন রাস্তা দেখিয়েছে তাদের আবিষ্কারের ফলে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন বেঁচেছে।

হেপাটাইটিস সি ভাইরাস গবেষনা
হেপাটাইটিস সি ভাইরাস গবেষনা চিত্র। Image source: www.nobelprize.org

মার্কিন গবেষক হার্ভে জে অল্টার তার গবেষণার মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি ভাইরাসকে চিহ্নিত করেছেন যা ক্রনিক হেপাটাইটিসের মূল কারণ। আর ব্রিটিশ গবেষক মাইকেল হিউটন হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের জেনোমকে পৃথক করেছেন। এবং মার্কিন গবেষক চার্লস এম রাইস চূড়ান্ত প্রমাণ দিয়েছে যে হেপাটাইটিস ‘সি হেপাটাইটিস ছড়ানোর জন্য দায়ী।

২. পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল

বিগত বছরের মত এবার পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ ২০২০ পেলেন মোট ০৩ জন যা তিনটি অংশে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। বিজয়ীরা হলেনঃ

  1. রজার পেনরোজ (যুক্তরাজ্য) মোট পুরস্কারের ৫০%
  2. আন্দ্রেয়া ঘেজ (আমেরিকা) মোট পুরস্কারের ২৫%
  3. রেইনহার্ড গেঞ্জেল (জার্মানি) মোট পুরস্কারের ২৫%
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল প্রাইজ ২০২০ বিজয়ী
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী। Image source: www.nobelprize.org

পদার্থবিজ্ঞানে যে অবদানের জন্য নোবেলঃ

মহাবিশ্বের অন্যতম রহস্যময় বিষয় কৃষ্ণ গহ্বর (Black Hole) নিয়ে গবেষণা করেছেন তাঁরা। সন্ধান পেয়েছেন নতুন এমন কিছু বিষয়ের, যা দ্বারা কৃষ্ণ গহ্বরের রহস্যের ভেদ করা সম্ভব হবে। আর এই কৃষ্ণ গহ্বর সংক্রান্ত গবেষণার জন্য এবার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন তারা।

নোবেল প্রাইজের অর্ধেক অংশ পাচ্ছেন ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক রজার পেনরোজ। তিনি প্রমান করে দেখিয়েছেন যে, পেক্ষিকতাবাদের সাধারণ তত্ত্বের প্রত্যক্ষ পরিণতিই হল ব্ল্যাক হোল।সহজ করে বললে, অ্যালবার্ট আইনস্টাইনেরর আপেক্ষিকতাবাদের সাধারণ তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে তিনি অঙ্কের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন ব্ল্যাক হোল গঠন সম্ভব।

নোবেলের বাকি অর্ধেক অংশ যৌথভাবে পাচ্ছেন জার্মানির রেইনহার্ড গেঞ্জেল এবং আমেরিকার আন্দ্রেয়া ঘেজ। রেইনহার্ড গেঞ্জেল ও আন্দ্রেয়া ঘেজ যৌথভাবে একটি অদৃশ্য এবং অত্যন্ত ভারী বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন। যে বস্তুটি ছায়াপথের কেন্দ্রে নক্ষত্রদের কক্ষপথকে নিয়ন্ত্রণ করে।

৫৫ বছর বয়ষ্ক গবেষক আন্দ্রেয়া ঘেজ ইতিহাসে চতুর্থ মহিলা হিসেবে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন। এর আগে আগে ১৯০৩ সালে মেরি কুরি, ১৯৬৩ সালে গোপার্ট মায়ের এবং ২০১৮ সালে ডোন্না স্ট্রিকল্যান্ড নোবেল প্রাইজের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।

৩. রসায়নে নোবেল প্রাইজ ২০২০

জিন প্রযুক্তিগত একটা আবিষ্কার যার মাধ্যমে প্রাণীর ডিএনএ পরিবর্তন করা সম্ভব। আর এ করনে ইতিহাসে ষষ্ঠ ও সপ্তম মহিলা হিসাবে রসায়নে এবার নোবেল পুরস্কার ২০২০ পেলেন একসাথে দুজন নারী। তারা হলেনঃ

  1. ইমানুয়েল শারপেনটিয়ার (ফ্রান্স)। মোট পুরস্কারের ৫০%
  2. জেনিফার এ দাউদনা (যুক্তরাষ্ট্র)। মোট পুরস্কারের ৫০%
রসায়নে নোবেল নোবেল প্রাইজ ২০২০
রসায়নে নোবেল বিজয়ী। Image source: www.almogaz.net

জার্মানির বার্লিনের ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইউনিট ফর সায়েন্স অফ প্যাথোজেনসের পরিচালক ৫২ বছর বয়সী ইমানুয়েল শারপেনটিয়ার আর জেনিফার এ দাউদনা অধ্যাপনা করেন আমেরিকার বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে।

রসায়নে যে অবদানের জন্য নোবেলঃ

জিন প্রযুক্তির মধ্যে এযাবৎকালের অন্যতম সেরা উদ্ভবন ‘CRISPR/Cas9’ জেনেটিক সিজর (scissors) বা জেনেটিক কাঁচি যার মধ্যমে গবেষকরা অত্যন্ত নির্ভুলতার সাথে প্রাণী, উদ্ভিদ এবং অণুজীবের ডিএনএ পরিবর্তন করতে পারবেন।

জেনেরিক সিজার
‘CRISPR/Cas9’ জেনেটিক সিজর। Image Source: www.quantamagazine.org

এটাকে নোবেল কর্তৃপক্ষ আখ্যায়িত করেছে ‘জিন প্রযুক্তির অন্যতম সেরা উদ্ভাবন হিসেবে। নোবেল কর্তৃপক্ষের মতে আণবিক জীবন বিজ্ঞানে বিপ্লব নিয়ে এসেছে ‘CRISPR/Cas9’ (জেনেটিক কাঁচি)। এই উদ্ভাবন উদ্ভিদের বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে নতুন বিপ্লব সূচনা করেছে। একইসঙ্গে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এই কাঁচি।

মানুষের জিনগত ত্রুটির কারনে যে সমস্ত রোগ হয়ে থাকে তা সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে গবেষকরা যে চেষ্টা করছেন, তা এখন বাস্তবে রুপ দেওয়া সম্ভব হবে এই জেনেটিক কাঁচির মাধ্যমে।

৪. সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার

কানাডিয়ান লেখিকা মার্গারেট অ্যাটউড এবং জাপানের হারুকি মুরাকামির মতো লেখককে পেছনে ফেলে এ বছর সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ ২০২০ জিতেছেন আমেরিকান লুইস গ্ল্যাক (Louise Glück)।

এর আগে ১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘দ্য ওয়াইল্ড আইরিস’ কবিতার বই তাকে পুলিৎজার পুরস্কার (১৯৯৩) এবং ইউ এস পোয়েট লরিয়েট (২০০৩-২০০৪) পুরস্কারও আছে তার ঝুলিতে। নিউ ইয়র্ক শহরের লং আইল্যান্ডে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা লুইস এলিজাবেথ গ্ল্যাক বর্তমানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।

লুইস গ্ল্যাক (Louise Glück)
সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী লুইস গ্ল্যাক। Image Source: www.ajc.com

লুইস গ্ল্যাক ইতাহাসে ১৬তম নারী হিসেবে নোবেল বিজয়ী হলেন ৷ নোবেল কর্তৃপক্ষর বিবৃতি অনুযায়ী লুইস হলেন বর্তমান সাহিত্য জগতের সেরাদের মধ্যে সেরা৷ মার্কিন সাহিত্যে লুইস গ্ল্যাকের অবদান তুলে ধরতে মিঃ আন্ডেরস ওলসন (নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান) বলেন, ‘‘তাঁর লেখায় রয়েছে রসবোধের তীব্র উপস্থিতি, সরলতা, আর দৃঢ়তা৷”।

এ পর্যন্ত তিনি ১২টি কবিতার বই প্রকাশ করেছেন এবং পাশাপাশি প্রবন্ধও লিখেছেন। ‘দ্য ওয়াইল্ড আইরিস’ এবং ‘ফেইথফুল ও ভার্চুয়াস নাইট তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। লুইস তার সাহিত্যগুণের জন্য সবসময়ই সমাদৃত ৷

৫. নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০২০

সংঘাত ও যুদ্ধকবলিত এলাকাগুলোতে ক্ষুধা নিরসনে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরুপ এবছর শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার ২০২০ পেয়েছে United Nations World Food Programme (WFP) । নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি প্র্রতিবারের ন্যায় এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করলো। এবারই প্রথম কোন সংস্থা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হয়েছে তা নয়, এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়েছিলো।

WFP
WFP logo. Image Source: www.nobelprize.org

যুদ্ধ-সংঘাত কবলিত এলাকার পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং যুদ্ধ ও সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে ক্ষুধাকে ব্যবহার করা রোধে অব্যহত প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরুপ সংস্থাটিকে এবার শান্তিতে নোবেল দেয়া হলো। সংস্থাটি খাদ্য সুরক্ষাকে শান্তির উপকরণ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সম্বনয়কের ভূমিকা পালন করেছে এবং যুদ্ধ ও সংঘাতের অস্ত্র হিসাবে খাদ্যকে ব্যবহার বন্ধে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে একত্রিত করতে অবদান রেখেছে।

এ পর্যন্ত কোন সংস্থা বা সংগঠন হিসাবে সর্বোচ্চ তিনবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রস। যথাক্রমে ১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে রেডক্রসকে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে দুই বার যথাক্রমে ১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে।

৬. অর্থনীতিতে নোবেল প্রাইজ ২০২০

রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস সোমবার ১২ অক্টোবর ২০২০ অর্থনীতিতে নোবেল লরিয়েটদের নাম ঘোষণা করে। এ বিভাগে এবার যৌথভাবে বিজয়ী হয়েছেন ০২ জন, তারা হলেনঃ

  1. পল আর মিলগ্রোম (যুক্তরাষ্ট্র)
  2. রবার্ট বি উইলসন (যুক্তরাষ্ট্র)
অর্থনীতিতে নোবেল প্রাইজ বিজয়ী
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী। (Image Source: www.nobelprize.org)

বর্তমানে পল মিলগ্রোম এবং রবার্ট উইলসন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সাথে যুক্ত আছেন। পল মিলোগ্রাম ১৯৪৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটে এবং রবার্ট উইলসন ১৯৩৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রর নেব্রাস্কাতে জন্মগ্রহন করেন।

নোবেল প্রাপ্তির জন্য অর্থনীতিতে অবদান

”নিলাম পদ্ধতির উন্নতি এবং নতুন নিলাম পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য” এ বছর পল মিলগ্রোম এবং রবার্ট উইলসনকে অর্থনীতিতে নোবেল লরিয়েট হিসাবে নির্বচিত করা হয়েছে। নোবেল কর্তৃপক্ষ বলেছে, ”তাদের তাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলি অনুশীলনের মাধ্যমে নিলামের উন্নতি হয়েছে”।

পল মিলগ্রোম এবং রবার্ট উইলসন নিলাম কীভাবে কাজ করে তা অধ্যয়ন করেছেন। যে সমস্ত পন্য বা সেবা সাধারণ পদ্ধতিতে বিক্রয় করা যায়না (যেমন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি) তার জন্য একটি ডিজাইন আবিষ্কার করেছেন যার ফলে বিশ্বব্যাপী বিক্রেতা, ক্রেতা এবং রাজস্বদাতারা উপকৃত হচ্ছেন।


আরও পড়তে পারেনঃ
একবিংশ শতাব্দীর চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং..
আবিষ্কারের কাহিনী-কৃত্রিম হার্ট ভাল্ভ
রোগ নির্ণয়ে মেডিকেল ইমেজিং
Tags: Noble Prize 2020অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ২০২০নোবেল পুরস্কার ২০২০ তালিকানোবেল পুরস্কার ২০২০নোবেল প্রাইজনোবেল শান্তি পুরষ্কার ২০২০
ShareTweetPin6
Previous Post

ঔষধ শিল্প; ঔষধ উদ্ভাবন থেকে মান নিয়ন্ত্রণ

Next Post

জেনে নিন হলুদ হয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন কেস পরিষ্কার করার উপায়!

Bulbul Ahmed

Bulbul Ahmed

সম্প্রতি প্রকাশিত

অব-বিলুপ্তিকরন (De-Extinction)

অব-বিলুপ্তিকরন (De-Extinction, Resurrection Biology, Species Revivalism)

April 15, 2025
সাইবর্গ

সাইবর্গ (Cyborg) এবং সামনের দিনের মানুষ!

April 3, 2025
Human habitation on other planets!

গ্রহান্তরে মানুষের বসবাস- সমস্যা এবং সম্ভাবনা!

March 19, 2025
ADVERTISEMENT

জনপ্রিয় লেখা

মহাকাশ পর্যটন

মহাকাশ পর্যটন; কল্পকাহীনি থেকে বাস্তবতা!

November 2, 2020
নীলগিরি

নীলগিরি ভ্রমণ! মেঘ ছুয়ে দেখার ইচ্ছেটা পূরণ হবে এখানে

February 22, 2021
চাকরির খবর

চাকরি খুজছেন? জেনে নিন চাকরির খবর কোথায় কিভাবে পাবেন।

December 2, 2020
নগদ মোবাইল ব্যাংকিং

নগদ মোবাইল ব্যাংকিং; সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল আর্থিক সেবা।

November 23, 2020
  • Privacy Policy
  • Home

© 2018 মুক্তপ্রান all right and reserved.

No Result
View All Result
  • মূল পাতা
  • লাইফস্টাইল
  • ভ্রমণ
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • স্বাস্থ্য কথা
  • ইতিহাস
  • রহস্য
  • রিভিউ
  • বৈশ্বিক
  • পরামর্শ

© 2018 মুক্তপ্রান all right and reserved.

This website uses cookies. By continuing to use this website you are giving consent to cookies being used. Visit our Privacy and Cookie Policy.